লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনার বুকে জেগে ওঠা দুর্গম চর চর-আবদুল্লাহ। প্রায় ২২ বর্গকিলোমিটারের এই চরে বসবাস করছে ১২ হাজার মানুষ। যাদের বেশির ভাগই জেলে ও কৃষিজীবী। নদীভাঙন, অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার অভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন তারা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকার নিরাপত্তা-এসব মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রামগতি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে চর-আবদুল্লাহ একটি। পঞ্চাশের দশকে মেঘনার ভাঙনের মুখে রামগতির মূল ভূখণ্ড থেকে বিলীন হওয়া এই ইউনিয়ন প্রায় ৩০ বছর পর পলি জমে আটটি পৃথক চর নিয়ে ফের জেগে ওঠে। ১৯৮২ সালের পর থেকে এ চরে ধীরে ধীরে বসতি শুরু হয়। শুরুতে চরটিতে শুধু কেওড়া গাছ ছিল। বসতি স্থাপনের লক্ষ্যে এখানে প্রথমে চাষাবাদ শুরু হয়। পরে রামগতি ও হাতিয়ার নদীভাঙনের শিকার ভূমিহীনরা...