ইরানে কারাগার কেবল শাস্তির স্থান নয়, বরং বন্দিদের সংশোধন ও পুনর্বাসনের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। ইসলামি শিক্ষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই বিচারব্যবস্থায় বন্দিদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি সমাজে পুনঃএকীভূত হওয়ার সুযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাহমুদকে ২০২৩ সালে মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ইরানে তার অপরাধকে ‘ক্ষুদ্র পরিসরের মাদকদ্রব্য রাখা’ হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ তিনি নিজেই মাদক সেবন করতেন এবং বড় এক পরিবেশকের কাছ থেকে সংগ্রহের পর অল্প কিছু পরিচিতজনের কাছে তা বিক্রি করতেন। তেহরানের এক কারাগারে দুই বছর কাটানোর পর ৩২ বছর বয়সী মাহমুদ এখন পুরোপুরি মাদকমুক্ত জীবনযাপন করছেন। তিনি নিয়মিতভাবে কারাগারে আয়োজিত ‘এনএ’ (নারকোটিকস অ্যানোনিমাস) সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং কারাগারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন দক্ষতা অর্জন করেছেন। কিছুদিন আগে তিনি সহবন্দিদের বলেছিলেন, ২০২৮ সালে মুক্তির...