তারপর মাঙ্গোশি শুকনো পথ ধরে হাঁটতে লাগলো, দূরের ম্লান সবুজ মেঘের মতো বনভাগের দিকে। অনেকটা পথ হাঁটল, বহু ভাঙা গাছের পাশ দিয়ে গেল, আর তাদের জন্য মন খারাপ হয়ে গেল। অবশেষে যখন সূর্য আকাশে হেলে পড়তে শুরু করেছে, তখন সে পৌঁছাল সেই বনভাগে যা এখনো জীবিত। সে ভেতরে ঢুকল, সেখানে ছিল উষ্ণতা। বাতাসে গাছের ছাল আর ঝোপের গন্ধ ভেসে আসছে। কাছেই কোথাও পশুর হাঁচির মতো শব্দ শোনা গেল। কিছু পাখি ডালপালায় ব্যস্ত হয়ে উড়াউড়ি করছিল। মাঙ্গোশি আরও ভেতরে ঢুকতে লাগল। হঠাৎই কানে এলো অনেকগুলো কণ্ঠের গুঞ্জন, মৃদু, ধীর, উঁচু-নিচু ঢেউয়ের মতো, যেন একসঙ্গে অনেকে কথা বলছে। তার মনে হলো, পুরো বন তাকে লক্ষ্য করছে। কিন্তু চোখ তুলে তাকালে সে কেবল মেহগনি আর ওবেচে গাছ, ঝোপঝাড় আর লতাগুল্ম দেখতে পেল। কাছাকাছি...