কাতারে ইসরায়েলের বিমান হামলার আট দিন পর পাকিস্তান ও সৌদি আরব সরকার একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থরক্ষা ছাড়াও এ চুক্তির নিশ্চয়ই আঞ্চলিক অনেক তাৎপর্য আছে। কৌতূহলোদ্দীপকভাবে বাংলাদেশে এ চুক্তি নিয়ে বেশ উদ্দীপনা দেখা গেল। গুরুত্বপূর্ণ অনেকে এ নিয়ে খুশিতে মতামত রেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেসবে এমনও প্রত্যাশা ও আফসোস মিশে ছিল, এ রকম কোনো চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশও চাইলে নিজের ‘নিরাপত্তাঘাটতি’ পূরণ করতে পারে। এসব মতামতের মধ্যে বিস্ময়কর যেটা দেখা গেল, ‘নিরাপত্তা’কে কেবল সামরিক বিষয় হিসেবে দেখা। যেন পাকিস্তান বা সৌদি আরবের জন্য নিরাপত্তা হুমকি কেবল সামরিকভাবেই আসছে। এক দেশ আরেক দেশের পাশে গোলাবারুদ বা বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে দাঁড়ালেই যেন সে নিরাপত্তাশঙ্কা দূর হবে। বাস্তবে ঘটনা কি তা–ই? পাকিস্তানের উদাহরণ নিয়ে আপাতত আলাপ করতে পারি আমরা।...