গণতন্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করে তথ্যের যথার্থতার ওপর। পরিকল্পিতভাবে ভ্রান্ত তথ্য ও প্রতারণাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা বাংলাদেশের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যখন দেশটি ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভোটারদের বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি, এই ধরনের মিথ্যা প্রচার যা দেশে সাধারণত ‘গুজব’ নামে পরিচিত–স্বচ্ছতাকে ক্ষুণ্ণ করে, নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় জনআস্থাকে নষ্ট করে। ইতিহাস সাক্ষী যে, এটি বাস্তবে বিশৃঙ্খলা, ঘৃণাজনিত অপরাধ ও হত্যার পথও খুলে দিতে পারে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির আগে যদি আমরা তথ্যমাধ্যমকে সুরক্ষিত না করি, তাহলে আবারও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ঝুঁকি থাকবে। দেশের দীর্ঘদিনের দলীয় বিভাজন আর নির্বাচনি সুষ্ঠুতা নিয়ে যে উদ্বেগ আছে, সেটাও বাড়বে। তাই আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই শক্তিশালী ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ভুয়া তথ্যের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়। বাংলাদেশে তথ্য বিকৃতির ধারা তৈরি...