শাকবাড়িয়া নদীর পাড় দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল গম্ভীর সুরে, যেন নদী নিজেই হিসাব কষছে—`এবার কাদের পালা? ইলিয়াস বাহিনী নাকি দুলাভাই বাহিনী?’ গাঙচিলগুলোও সেদিন যেন হাসাহাসি করতে ভুলে গিয়েছিল। ডানার ঝাপটানি থেমে গিয়েছিল, তারা গাছের ডালে গম্ভীর ভঙ্গিতে বসেছিল—মনে হচ্ছিল, এরাও বনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিক তখনই বাবার হাহাকার ভরা সংলাপ কানে এসে বাজল—‘অনেক কষ্টে ধারদেনা করে মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করে ছেলেকে ফিরিয়েছি।’ বাবা যেন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলা নাটকের সংলাপ দিচ্ছেন। তবে নাটকটা কোনো প্রোমোশনাল শো নয়, একেবারে হাড়হিম করা বাস্তব। এ নাটকের দর্শক আমরা সবাই, কিন্তু টিকিট কিনতে কেউ রাজি নয়। কারণ এখানে নায়ক বন্দী, ভিলেন বন্দুক হাতে, আর দর্শকরা দুঃখে গিলতে থাকে দীর্ঘশ্বাস। তিন দিন ডাকাতদের হাতে ছিল বাবার ছেলে। খাবার বলতে শুকনো ভাত, গায়ে পচা মাছের গন্ধ; ঘুম...