তবে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার গতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অপরাধীরা প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, শুধু চাল জব্দ করেই দায় সারা হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলার নিয়োগ, পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। নইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দুর্নীতির ফাঁদেই আটকে থাকবে, আর প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনা শুধু আদমদীঘির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।...