রাত তখন প্রায় দুইটা। শহরের অচেনা এক রাস্তায় হাঁটছিলাম। রাতের বাতাসে কেমন একটা কাঁচা গন্ধ, রাস্তার বাতিগুলো টিমটিম করে জ্বলছে, কখনো নিভে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখি ফুটপাতের ধারে বসে আছে এক যুবতী। লাল শাড়ি, চোখের নিচে গভীর ক্লান্তির ছাপ, ঠোঁটে সতেজ হাসি। অদ্ভুতভাবে সে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। আমি একটু থামলাম। তার উদ্দেশ্যে বললাম, ‘এত রাতে আপনি এখানে?’সে ঠোঁটের কোণে একটুখানি মুচকি হাসি টেনে বলল, ‘তুমিইবা এত রাতে এখানে কেন?’আমি মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম, ‘এমনিতেই হেঁটে বেড়াই, ঘুম আসে না তাই।’সে বলল, ‘আমারও।’ এক-দুই কথায় আমরা পাশাপাশি হেঁটে যেতে লাগলাম ফাঁকা রাস্তায়। আমাদের মাঝে কেবল মাটিতে পা ফেলার শব্দ। কিছুক্ষণ পর সে বলল, ‘তোমার নাম?’আমি একটু থমকে বললাম, ‘সোহান। তোমার?’সে হেসে বলল, ‘ধরা যাক, নাম নীরা।’নীরা? নামটার মধ্যে কেমন একটা বিষণ্ণ সুর...