এই নৌকা নিয়েই হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন নৌকাবাইচে হাজির হতে থাকলেন তরুণেরা। প্রতিটি আয়োজনে অংশ নেওয়ার আগে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা। কারা অংশ নেবেন, কে সারি গাইবেন, কে হাল ধরবেন, বাইছালদের (মাঝি) পোশাক কী হবে, কারা বাদ্যযন্ত্র বাজাবেন—এ রকম প্রস্তুতি চলে সপ্তাখানেক। হাওরে কয়েক দিন ধরে চলে মহড়া। তারপর ‘এসো এসো বন্ধুগণ নাও দৌড়াইতে যাই, শ্রীবদন সারি গাইয়া বাইছালী খেলাই’—মসরু পাগলার গানের তালে তালে, কখনোবা বাউল শাহ আবদুল করিমের ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খি নায়’ গাইতে গাইতে হাওরে ঢেউ তুলে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ছোটে ‘বীর পবন’। বাইছালদের মুখে মুখে ‘শাবাশ শাবাশ, হেঁইয়ো’ জোশে সামনে এগোয় ‘ময়ূরপঙ্খি’। সেই জোশের তালে জোরসে বাইছালদের উৎসাহ দেন হাওরপাড়ের হাজারো দর্শক। কোনো প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতে বীর পবন, কোনোটাতে খালি হাতেই ফেরেন...