নব্বইয়ের আগে-পরে, গোটা বিশ্বে তখন তুমুল পরিবর্তন এসেছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে একদিকে ভেঙে গেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আরেকদিকে ভেঙেছে বার্লিন ওয়াল। চীনের প্রাচীর না ভাঙলেও তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে তুমুল ছাত্র বিক্ষোভ হলো আর সামান্য বাজারের ব্যাগ হাতে সারিবদ্ধ ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিলেন এক মধ্যবিত্ত পুরুষ। সাম্যবাদ গুটিয়ে পুঁজিবাদ আসর বিছিয়ে দিলো সারাবিশ্বে, মুক্তবাজার অর্থনীতির জোয়ারে বাংলার পাড়া-মহল্লার টং দোকানে ঝুলতে লাগলো বিদেশি বিস্কুটের ঝলমলে প্যাকেট। ততদিনে নব্বইয়ের গণ-আন্দোলন শেষ, ‘গণতন্ত্র’-এর শুরু। বাড়িতে বাড়িতে টেলিভিশন আর ফ্রিজ, পাড়ায়-মহল্লায় ভিসিআরের দোকান। ভাড়ায় আনা ভিসিআরের ক্যাসেটে মহল্লাবাসী এক হয়ে নাচছে অমিতাভ বচ্চন থেকে মিঠুন চক্রবর্তী পর্যন্ত। আমির খান, সালমান খান আর শাহরুখ খানও চলে এসেছেন মার্কেটে। ভিউকার্ডে জৌলুস ছড়াচ্ছে রেখা, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত আর জুহি চাওলারা। তো এই ভীষণ টালমাটাল পরিবর্তনের কালে বাংলা...