একশ নব্বই বছরের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য সংগ্রাম। জীবন দিয়েছেন ফকির-সন্ন্যাসী, কৃষক, বিপ্লবী ছাত্রছাত্রী ও পেশাজীবীরা। অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা এই স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশিষ্ট হয়ে আছে সশস্ত্র আন্দোলনের প্রথম নারী আত্মত্যাগী হিসেবে। ইংরেজদের প্রমোদের জন্য যে ক্লাবগুলো ছিল সেখানে ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার ছিল না। এদেশের মানুষকে অবজ্ঞা করে সেখানে লেখা থাকত ‘কুকুর ও ভারতীয় প্রবেশ নিষেধ!’ চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ধৃষ্টতার জন্য ইংরেজদের চরম শিক্ষা দেবেন। তারা ইংরেজদের এমন প্রমোদ ক্লাবগুলো আক্রমণ করে তাদের প্রাণ অতিষ্ঠ করে তুলবেন, যেন তারা শাসন করার থেকে ভারতবর্ষ ছেড়ে যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করে। এই দুঃসাহসিক কর্মের জন্য তারা বেছে নিয়েছিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান ক্লাবকে। এই দুঃসাহসিক অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিপ্লবী...