সে রকম একটা নাটক কীভাবে সাজানো যায়, রফিকুল তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই দেখা গেল, মহানাটক হওয়ার জোগাড়যন্ত্র শেষ। অতিবিচক্ষণরাও যে এই নাটক বোঝার মতো জ্ঞান কা-জ্ঞান ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে, এটা নাট্য পটীয়সীদের মাথায় ঢোকেনি। নেড়া দুবার বেলতলায় যায় না, এটা তারা বুঝতে পারেননি। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। কেমন যেন ফুলে ফেঁপে উঠল সবাই, সবকিছু। ‘ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাবার’ মওকা, মতো বা ভিন্ন নাম পরিচয় দেওয়ার বা দেখাবার টেকনিকটাও বুমেরাং হয়ে দেখা দিল। ব্যাপারটা এমন হবে রফিকুল বুঝে উঠতে পারেনি। চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে সর্বত্র এক ধরনের অচলায়তন অবস্থা তৈরি হয়ে আছে, বেশ কয়েক বছর ধরে। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকারের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে কয়েক দশক ধরে। বিদ্যায়তনে শিক্ষক যা পড়াবেন, সেটাই জ্ঞানার্জনের অন্যতম উৎস হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষককে...