দেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী। চারপাশে নীল সমুদ্র, মাঝখানে পাহাড়, লবণখেত ও ম্যানগ্রোভ বন। এখানকার প্রায় চার লাখ মানুষের জীবন যেন বৈরী প্রকৃতি, দস্যুতা ও উন্নয়নের জটিল চাপের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ-ঝড়, অকাল বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস আর ডাকাতের আতঙ্ক। অন্যদিকে মাতারবাড়ী বা অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদ-সব মিলিয়ে মহেশখালীর মানুষের জীবন আজ এক কঠিন সমীকরণে। এ উপজেলার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি লবণচাষ। বছরের নির্দিষ্ট মৌসুমে হাজার হাজার শ্রমিক মাঠে নামেন লবণ উৎপাদন করতে। কিন্তু অকাল বৃষ্টি, খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বাজারমূল্যে অস্থিরতায় চাষিরা বারবার লোকসানের মুখে পড়ছেন। কালামারছড়ার বাসিন্দা লবণচাষি আব্দুল মালেক বলেন, আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম লবণচাষ করে আসছি। আগে মৌসুম ভালো হলে সংসার মোটামুটি চলে যেত। বছরের পর বছর মাঠে ঘাম ঝরাতাম, সেই ঘামে সংসারের চাকা...