বারান্দার রেলিংয়ে কাকটা ক্রমাগত ডেকেই চলেছে। ঘরের ভেতর থেকে একবার রাহেলা বেগম হুশশশ হুশশশ বলে আওয়াজ দিলেন। এতে কাকটা খানিক সময় চুপ করে রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার কাকটা তারস্বরে চিৎকার শুরু করলো। পুনরায় কাকটাকে ডাকতে দেখে রাহেলা বেগম অবাক হলেন। তিনি মনে করেছিলেন, কাকটা বুঝি চলে গেছে। কাকের ডাক তিনি সহ্য করতে পারেন না। চুলায় চায়ের পানি ফুটছিল। সাবধানে সে পাতিল হতে এক কাপ টগবগে গরম পানি নিয়ে আস্তে আস্তে বারান্দার দরজার কাছে আসলেন। কাকটা তার দিকে পেছন ফিরে বাইরের দিকে ফিরে ডাকছে। মহাবিরক্ত হয়ে হাতের কাপের গরম পানিটুকু কাকটার গায়ে ছুঁড়ে মারলেন। আচমকা গরম পানিতে পালক ভেদ করে নরম পাতলা চামড়া অব্দি ছুঁয়ে গেলো গরম পানিটুকু। অসহ্য যন্ত্রণায় পাখিটার গলার স্বর পালটে গেলো। চট করে উড়ে যেতে গিয়ে বারান্দার...