সমাজবিজ্ঞানের পরিভাষায় মেরিটোক্রেসি মানে এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে ব্যক্তির মূল্যায়ন হয় তার যোগ্যতা, মেধা, দক্ষতা ও কর্মফল অনুসারে। বংশ, সম্পদ কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় নয়; বরং মানুষ কীভাবে নিজের সামর্থ্যকে কাজে লাগাচ্ছে, সেটিই মূল নির্ধারক। এক অর্থে মেরিটোক্রেসি হলো ‘যোগ্যতমের জয়’। আধুনিক রাষ্ট্র ও সমাজে এটি ন্যায়সংগত ও কার্যকর শাসনব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে একটি বারের জন্যও কিন্তু শিক্ষিত বলা হয়নি। তাহলে কী দাঁড়ায়? যোগ্যতা কেবলই শিক্ষা নয়। দক্ষতার মিশেলে সামর্থ্য। বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনায় মেরিটোক্রেসির ধারণাটি কতটা প্রযোজ্য, সেটিই আজকের আলোচ্য বিষয়। কারণ, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে এসেও আমরা এখনও বিতর্কে আছি- আমাদের সমাজ কি প্রকৃতপক্ষে যোগ্যতার ভিত্তিতে এগোচ্ছে, নাকি পরিবার, সম্পদ ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার ঘূর্ণিতে আটকে আছে? শিক্ষাক্ষেত্রই মূলত মেরিটোক্রেসির প্রাথমিক ভিত্তি। কারণ, শিক্ষা ব্যবস্থা যোগ্যতাকে যাচাই...