চ্যাতুম না। অ্যাদ্দিন আছিলা কই, চান্দু? আগে আমার পাওনা ট্যাহাডা ফালা। তারপর কতা। আজ সুবিধা হবে না বুঝে লাফাঙ্গা ছেলেটা সরে যায়। কেটে পড়তে পড়তে বলে, দিমু দিমু; আর কয়ডা দিন সবুর কর। হোসেন তর ট্যাহা মাইরা খাইবো না। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার মধ্যে বাকুশাহ মার্কেট জমজমাট। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে-ওঠা দর্জিঘরগুলোতে মোমবাতি জ্বলছে। তার মানে লোডশেডিং। ফুটপাত ঘেঁষে দাঁড়ানো কড়ইগাছের নিচে দুধ-রুটির দোকান। কয়েকজন কাস্টমার দুধে ভেজানো রুটি গিলছে। এক রিকশাওয়ালা কাউকে ডাকলো, ‘আহেন স্যার, কই যাইবেন?’ ফরিদও ভাবলো এখনও কেউ আসেনি বোধ হয়। সারাদিন নানান ধান্ধায় থাকে বন্ধুরা। ধান্ধা না করলে পেট চলবে? আড্ডার পয়সাইবা আসবে কোত্থেকে? আটটার আগে শাহবাগে মাথা ভাসাবে না কেউ। ফরিদ ঠিক করেছিল আপাতত অসীম সাহার প্রেসে গিয়ে গ্যাজাবে। এ সময়টায় উনি থাকেন। তারপর আটটার...