পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুশল বিনিময়ের সময় একটু মুচকি হাসি এবং মমতাভরা দৃষ্টিই অনেক সময় মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, হাসি মানুষের মানসিক চাপ কমায়, উদ্বেগ দূর করে এবং সামাজিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর ইসলামের শিক্ষায় এই হাসিকে কেবল সামাজিক সৌজন্য হিসেবেই দেখা হয়নি, বরং এটিকে সওয়াবের কাজ, ইবাদতের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে আমরা এর অসাধারণ উদাহরণ দেখতে পাই। তিনি সর্বদা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে মিষ্টি ভাষায় কুশল বিনিময় করতেন, যা উম্মতের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। নবীজি (সা.)-এর চেহারা সর্বদা প্রশান্তি ও উজ্জ্বলতায় ভরা থাকত। সাহাবায়ে কেরাম সাক্ষ্য দিয়েছেন, তার মুখখানি ছিল সদা হাস্যোজ্জ্বল, আর তিনি কাউকে নিরাশ বা বিমর্ষ মনে ফিরিয়ে দিতেন না।...