একটি চিরকুটে কয়েকটি লাইন, তারপর রক্তাক্ত নীরবতা। রাজশাহীর বামনশিকড় গ্রামের মিনারুল ইসলাম লিখে গেলেনÑ“আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।” এরপর তিনি শেষ করে দিলেন নিজের জীবন, সঙ্গে স্ত্রী ও দুই সন্তানের জীবনও। মানুষটি চলে গেলেন, কিন্তু রেখে গেলেন প্রশ্নের পাহাড়। সেই প্রশ্ন এখনো সমাজকে তাড়া করে ফেরেÑআমরা কি বুঝতে পারছি না ঋণ কেবল অর্থনৈতিক বোঝা নয়, বরং জীবনসংহারী এক ফাঁদ? অদ্ভুতভাবে, মৃত্যুর পরেও এই ঋণ শেষ হলো না। পরিবারের চল্লিশার আয়োজন করতে মিনারুলের বাবা আবারও ঋণ নিলেন। ভাত নেই ঘরে, তবুও ধার করতে হলো ভোজ সাজাতে। এ কেমন সভ্যতা, যেখানে বেঁচে থাকতে মানুষ ক্ষুধায় মরে, আর মরার পর আত্মার শান্তির নামে বিরিয়ানি রান্না হয় ধার করা টাকায়? এটাকে কি আমরা ধর্ম বলব, নাকি সামাজিক চাপের মুখোশে শোক-বাণিজ্য? বাংলার...