কাতারের দোহায় হামাস কর্মকর্তা ও আলোচকদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এটা উপেক্ষা করা আরব রাষ্ট্রগুলোর পক্ষেও সম্ভব নয়। ইসরায়েল বরাবরই তার নিরাপত্তার স্বার্থে আগাম (আক্রান্ত হওয়ার আগেই) ও সীমান্তের বাইরে হামলার যৌক্তিকতা দেখিয়ে এসেছে। গত দুই বছরে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত ছয়টি দেশে (ফিলিস্তিনসহ) হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের এসব হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের হুমকি দূর করা। কিন্তু কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কাতার শুধু সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্রই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগী ও ন্যাটোবহির্ভূত একটি মিত্র। একই সঙ্গে এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস আলোচনার একটি কেন্দ্র। ফলে এই হামলা আরেকটি ‘টার্গেট কিলিং’ নয়, বরং এক মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা। এখন থেকে আরব রাষ্ট্রগুলো শুধু ইরানকেই নয়,...