দুদিনের আলোচনার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হলো সুশীলা কার্কিকে। তিনি নেপালের প্রথম নারী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এর মধ্য দিয়ে সততা ও দৃঢ়নীতির জন্য পরিচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি কার্কি দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস গড়লেন। কারণ, তিনি কোনো রাজনৈতিক বংশপরম্পরার উত্তরাধিকার নন। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক পরিবারের ক্ষমতাচর্চা বা দলীয় প্রতিনিধি হওয়া ছাড়া কোনো নারী একটি রাষ্ট্র এবং তার সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।যদিও এ পালাবদলে নেপালের জেনারেশন জেড বা জেন-জিই নেতৃত্ব দিয়েছিল, তথাপি আন্দোলনের দরুন সহিংসতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিল, সবচেয়ে ন্যায়সংগত আন্দোলনও কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত রূপ ধারণ করতে পারে। এখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আবারও ভেতর থেকে ফাঁপা হয়ে পড়ে কিংবা আমরা যদি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাকে স্থায়ী সংস্কারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি, তবে কঠোর সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতা আবারও হারিয়ে যাওয়ার...