স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। সীমিত সম্পদ, দুর্বল অবকাঠামো, দারিদ্র্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতির কারণে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে গত পাঁচ দশকে দেশটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নতি এসেছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং রফতানি খাতে বৈচিত্র্য এসেছে। এসব অর্জনের ভিত্তিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। তবে সময় যত ঘনিয়ে আসছে, দেশে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে বিতর্কও তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের যুক্তি, এই মুহূর্তে উত্তরণ হলে রফতানি খাতসহ দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপ, রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা, নির্বাচন ও জ্বালানি...