এ অধ্যায়ে আমরা বিশ্লেষণ করবো তাঁর ভাষার সহজতা, ছন্দের বৈচিত্র্য ও আঞ্চলিক রীতি—যা তাঁকে অন্য কবিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করেছে। ১. ভাষার সহজতা ও হৃদয়গ্রাহী রূপজসীম উদ্দীনের কবিতার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—অলংকারহীন, প্রাঞ্জল, অথচ আবেগঘন ভাষা। তিনি আড়ম্বর পরিহার করে, সরল শব্দে মানুষের জটিল অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলেন। এ সরলতা তার কাব্যকে দিয়েছে গণমানুষের ভাষা।উদাহরণ:‘তুই বিদেশ যাইবি ভাই,আমি থাকি গাঁয়ে রে,বলিস ভাই রে ভুইলা যাইস নামোরে এই মায়ে রে!’এ ভাষা কোনো অভিধান থেকে নয়, এসেছে গ্রামের মুখ থেকে। তাই পাঠকের হৃদয়ে গেঁথে যায়। ২. আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারজসীম উদ্দীন বাংলা সাহিত্যে আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষাকে সম্মানজনক আসনে বসান। তিনি দেখিয়েছেন, আঞ্চলিক ভাষা কেবল হাস্যরস বা লোকগীতিতে নয়—সাহিত্যিক মহিমায়ও পূর্ণ হতে পারে। তাঁর ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্যরীতি: ভুইলা, তুই, গাঁয়ে, মায়ে রে, রূপাই,...