বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভেঙে যখন ভেতরে ঢুকছিল, লোহার ফটকের ঝাঁকুনি যেন ঢোলের শব্দের মতো বাজছিল। অল্প কিছু ঘণ্টা আগেও যে ব্যারিকেড ক্ষমতার প্রতীক ছিল, তা মুহূর্তেই ধ্বসে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের করিডোরে কাদা-ভেজা পায়ের শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। কেউ ভাঙচুর করছিল জানালা-দরজা, কেউ বিলাসবহুল বিছানার চাদর বা জুতো কুড়িয়ে নিচ্ছিল। যে বাড়িটি ছিল এক অপ্রবেশযোগ্য ক্ষমতার প্রতীক, কোটি মানুষের কাছে দূর-অগম্য। কিন্তু তখন, সাময়িক হলেও তা ছিল সাধারণ মানুষের দখলে। এ দৃশ্য ছিল নেপালে গত সপ্তাহে। এর আগে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে এবং বাংলাদেশে ২০২৪ সালে একই চিত্র দেখা গেছে। ৩ কোটি মানুষের দেশ নেপাল এখন ভবিষ্যৎ রচনা করছে এক ভিন্ন পথে, যা ঐতিহ্যগত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বাইরে। একের পর এক সরকার পতন এবং তরুণদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান—এসব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে: দক্ষিণ এশিয়াই কি জেনারেশন-জি...