‘এখানে নাহিকো কাজ—উৎসাহের ব্যথা নাই, উদ্যমের নাহিকো ভাবনা; এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার অনেক উত্তেজনা’—এ রকম স্থানটি তখন কোনো এক অবসরের মায়াবী মুহূর্ত হয়ে ওঠে। এই স্থান একটি হাওরের এক প্রান্ত, একটি দিক; যেখানে তখন বিকেলের রোদে শেষবেলার স্নান সারছে শাপলাপাতার দল। পাতার বিশাল সবুজ চাদরের ওপর টলমলে-ছলছল করা জলের বুকে ধাতব হাসির মতো চকচক করছে রুপালি তরল রোদ। মৌলভীবাজারের রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক সব সময়েই প্রকৃতির মতো করে নিজেকে বদলে নিতে পারে, ভিন্ন ভিন্নভাবে ভালো লাগার একটি পথ এটি। সড়কের দুই পাশে বারো মাসই কমবেশি বুনো জলজ ফুলের দেখা পাওয়া যায়, জলজ গাছ তো আছেই। পথটি গ্রাম পেরিয়ে যখন খোলা প্রান্তরে ঢুকে যায়, তার দুই পাশে বুক মেলে থাকে কাউয়াদীঘি হাওর, হাওরের অবারিত জল, জলভাঙা ভূমি। কখনো থইথই করা জল নাচে, কখনো...