গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ খাতে ৫০ কোটি ডলারের ঐতিহাসিক বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। একই সময়ে ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বিধ্বংসী বন্যার কারণে জরুরি সহায়তাও প্রদান করে। এটি একটি উদ্যোগ, যা অনেককে বিস্মিত করেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যত্র মানবিক প্রতিশ্রুতি কমিয়ে দিচ্ছে। এ সাহায্য প্যাকেজটি পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের অতীতের উষ্ণ মুহূর্তগুলোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে; আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের সময় থেকে শুরু করে ৯/১১-পরবর্তী সময় পর্যন্ত, যখন ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কেন্দ্রীয় অংশীদার হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক সময়ে এ পদক্ষেপগুলো ইঙ্গিত দেয় যে পরীক্ষিত এ সম্পর্কটি অন্তত নিকট ভবিষ্যতে স্থিতিশীল থাকবে। তবে বড় প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান কি এ সম্পর্ককে আরও টেকসই কিছুতে রূপ দিতে পারবে? অর্থনৈতিক সংযোগ একটি দিক হতে পারে। তবে আসল পরীক্ষা হবে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন এমন ভূরাজনৈতিক...