নিজস্ব প্রতিবেদক: নেপালে সাম্প্রতিক সরকার পতনের ঘটনা ও তার পরবর্তী রাজনৈতিক রূপান্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, নেপালের ঘটনাপ্রবাহকে সামনে এনে তুলনামূলক আলোচনায় মেতে উঠেছে রাজনৈতিক মহল, বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম। নেপালে একটি তুলনামূলকভাবে ছোট সামাজিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে তরুণ সমাজ রাস্তায় নামে। পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। উত্তাল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তখনকার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যায়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, নেপালের আন্দোলনকারী তরুণরা জনজীবনে বিভ্রাট ঘটানো ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান, যা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়। এ পরিস্থিতিকে অনেকেই “গণতান্ত্রিক আত্মশুদ্ধির দৃষ্টান্ত” বলে অভিহিত করেছেন।...