বাংলাদেশে আমরা উইল ডুরান্টকে চিনেছি প্রথমত তাঁর ‘The Story of Philosophy’ বইটির আবুল ফজল কর্তৃক অনূদিত ‘দর্শনের ইতিকাহিনী’র মাধ্যমে। আমরা যারা তখনও পর্যন্ত ইংরেজি বই পড়ার মতো, বিশেষ করে দর্শনের মতো গুরুভার গ্রন্থ ইংরেজিতে পড়ার ভাষিক সক্ষমতা অর্জন করিনি, তখন আবুল ফজলকৃত সুপাঠ্য এই অনুবাদটি উইল ডুরান্টের মহিমাকে আমাদের সামনে হাজির করেছিল পূর্ণ মাত্রায়। এই বইটির মাধ্যমেই ডুরান্টের সাথে আমাদের অঙ্গবিহীন প্রথম আলিঙ্গন। পরে তাঁর সম্পর্কে আমাদের কৌতূহল যখন শাখাপ্রশাখায় বিস্তৃত হতে শুরু করে তখন জেনে আশ্চর্য হয়েছি, তিনি সভ্যতা, ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতি ও দর্শন নিয়ে এগারো খণ্ডে রচিত ‘The Story of Civilization’ নামক বিশাল কীর্তির রচয়িতা। আরও পরে ‘The Age of Voltire’ বইটি পড়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম তাঁর পাণ্ডিত্যের পরিধি ও বিশ্লেষণের বিস্তারে। কিন্তু এই বিশ্ব-মনীষার অন্য যে পরিচয় নতুন...