ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সর্বশেষ ১৪ দিন চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফেরানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত চিরঘুমের দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই আলোচনায় আসে, কোথায় সমাহিত করা হবে বরেণ্য এ শিল্পীকে? শেষ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় তার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিভরা জায়গা, যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মা-বাবা, সেখানেই কবরস্থ করা হবে তাকে। শিল্পীরই চাওয়া ছিল এটা।ফরিদা পারভীন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠেন কুষ্টিয়ায়। বাবা ছিলেন চিকিৎসক, মা গৃহিণী। সাংস্কৃতিক আবহে বড় হওয়া ফরিদার গানে হাতেখড়ি পাঁচ বছর বয়সে। বাবা-মায়ের উৎসাহে শাস্ত্রীয়সংগীতে তালিম নেওয়া ফরিদার ইচ্ছা ছিল নজরুলসংগীতের শিল্পী হওয়ার। এগোচ্ছিলেনও সে পথেই। রাজশাহী বেতারে নজরুলগীতির শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন ১৯৬৮ সালে। গেয়েছেন আধুনিক ও দেশের গানও। তরুণ বয়সে লালনের গান একরকম ‘উপেক্ষিতই’ ছিল...