মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে অসংখ্য সম্রাট, সমরনায়ক ও দার্শনিক রাষ্ট্রচিন্তক জন্ম নিয়েছেন। কেউ যুদ্ধের মাধ্যমে ভূখণ্ড জয় করেছেন, কেউ-বা নতুন মতবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু একজন ব্যক্তিত্বই আছেন, যিনি একইসঙ্গে ছিলেন আধ্যাত্মিক নেতা, নৈতিক শিক্ষক, সমাজ সংস্কারক ও রাষ্ট্রপ্রধান, তিনি হলেন সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তার হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এমন এক রাষ্ট্র, যা শুধু সমকালীন আরব সমাজকেই নয়, ভবিষ্যতের মানবসমাজকেও ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার এক অদ্বিতীয় দৃষ্টান্ত উপহার দিয়েছে। নবীজির রাষ্ট্র পরিচালনা কোনো কল্পিত নীতি বা সামরিক দমননীতির ফসল ছিল না। বরং তা ছিল আল্লাহপ্রদত্ত নির্দেশনা ও বাস্তবজীবনের প্রজ্ঞার সমন্বিত প্রয়োগ। মদিনার ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসলামি রাষ্ট্র মূলত কোরআনের শিক্ষা, ন্যায়পরায়ণতা, পরামর্শভিত্তিক শাসন, জনগণের অধিকার ও জবাবদিহির এক অনন্য মডেল। ‘মদিনা সনদ’ প্রণয়ন করে তিনি বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত...