আমাদের সমাজে রাগকে অনেক সময় শক্তির প্রকাশ বলে মনে করা হয়। কেউ চিৎকার করে নিজের মত চাপিয়ে দিলেই মনে হয় সে-ই বড় ক্ষমতাবান। রাস্তাঘাটে সামান্য ধাক্কা লাগলেই ঝগড়া, বাড়িতে সন্তান বা স্ত্রীকে “শাসন” করার নামে প্রহার, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে দমন করতে মারপিট—সবই যেন স্বাভাবিক এক ধারায় মিশে গেছে। অথচ এগুলো শক্তির নয়, বরং গভীর দুর্বলতার লক্ষণ। শিশু বয়স থেকেই আমরা অজান্তে শিখি—মারধর করলে কথা মানানো যায়, রাগ দেখালে দাপট বোঝানো যায়। বাবা-মা সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে চড়-থাপ্পড়কে স্বাভাবিক করে তোলেন। স্কুলে সহপাঠীর সঙ্গে ঝগড়া মানে “নিজের জোর প্রমাণ করা”। মিডিয়ার সিনেমা-নাটকেও নায়ক যেন রাগ আর মুষ্টিবদ্ধ হাতে সব সমস্যা মেটায়। ফলে বড় হতে হতে আমাদের ভেতরে বসে যায় এক অদ্ভুত শিক্ষা: সংলাপ বা সহনশীলতা নয়, শক্তি দেখানোই নাকি সমাধানের পথ। কিন্তু...