শহরের উঁচু ভবন, ব্যস্ত সড়ক আর চিরক্লান্ত যন্ত্রচালিত জীবন আমাদের ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা বন্দি থাকি কংক্রিটের দেয়াল আর স্ক্রিনের আলোয়। আকাশের তারাভরা রাত, ভোরের শিশির, নদীর কলকল ধারা—এসব যেন এখন কেবল শৈশবের গল্পের মতো দূরের স্মৃতি। এই বিচ্ছেদ নিছক দৃশ্যপটের নয়, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, সৃজনশীলতা এবং মানবিকতাকেই ক্ষয় করছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রকৃতির সংস্পর্শে মানুষ শান্তি খুঁজে পায়। গাছের ছায়ায় হাঁটলে মনের চাপ কমে, নদীর জল বা পাহাড়ের সবুজে ডুবে গেলে চিন্তার গতি ধীর হয়। কিন্তু শহুরে জীবনে সেই সুযোগ দিন দিন ক্ষীণ। প্রতিদিনের ট্রাফিক, শব্দদূষণ, কাজের চাপ আর স্ক্রিনে আটকে থাকা চোখ আমাদের স্নায়ুকে অবিরত উত্তেজিত রাখে। এর ফলেই বাড়ছে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, অবসাদ। অনেক মনোবিজ্ঞানী একে “প্রকৃতি-বিরূপতা” আখ্যা দেন—প্রকৃতির অভাবে...