ফরিদা পারভীনের নাম উচ্চারিত হলে সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে ওঠে লালনের গান, আধ্যাত্মিক দর্শনের সুর আর এক অনন্য কণ্ঠের গভীরতা। তিনি শুধু একজন সংগীতশিল্পী ছিলেন না, ছিলেন লালনসঙ্গীতের জীবন্ত ভাণ্ডার। তাঁর প্রয়াণ মানে কেবল একজন শিল্পীর বিদায় নয়, বরং এক ঐতিহ্যের, এক ধারার, এক আধ্যাত্মিক সুরলোকের বড় শূন্যতা। বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ‘লালনকন্যা’ নামে ডেকেছে। লালনের গানকে তিনি যেভাবে গেয়েছেন, তাতে শুধু সুরই নয়, দর্শনের গভীরতাও প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান ছিল মগ্নতার এক অভিজ্ঞতা, যা শ্রোতাকে করে তুলত ভাবুক। ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গান পরিচিত করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ায় গান শোনানো তিনি প্রমাণ করেছেন, আঞ্চলিক এক গানের ধারা কীভাবে বৈশ্বিক শিল্পরূপ নিতে পারে। তাঁর কণ্ঠে লালনের দর্শন হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন মানবতাবাদের ভাষা। ফরিদা পারভীনের রক্তেই...