কনকচাঁপা বলেন, ‘ফরিদা পারভীন আপা লালনগীতে যে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করেছিলেন, পুরো জায়গাটি তিনি শূন্য করে নিজের সঙ্গে নিয়ে গেলেন। যারা লালনগীতি শুনতাম, ফরিদা আপাকেই শুনতাম। মূলত যারা লালনের আখড়ায় গান করেন তাদের গান একরকম, আর ফরিদা আপার গান আরেকরকম।’ এই শিল্পী বলেন, ‘শুধু লালনের কথা বললে তাকে ছোট করা হবে। তার কণ্ঠ অনবদ্য, রয়েছে মায়া। এক কথায় বলতে গেলে, ফরিদা আপার কণ্ঠ তীরের মতো হৃদয় স্পর্শ করতো। ভরাট একটা সংগীতাঙ্গন দেখে আমি বড় হয়েছি; সেটাই ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি। আমাদের মাথার ওপর যারা বটবৃক্ষের মতো ছিলেন, তাদের আমরা হারিয়ে ফেলছি। আমরা খুবই অসহায় হয়ে যাচ্ছি।’ তবে সাধারণ মানুষের প্রতি খানিকটা আক্ষেপও রাখেন কনকচাঁপা। বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনকে আনন্দিত করতে গান শোনেন। কিন্তু যখন কোনো শিল্পী মারা যান তখন পাপ-পুন্য, দোজখ-বেহেশত...