জানি না, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথ আর কত কণ্টকাকীর্ণ হবে! গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা নির্বাচনি গণতন্ত্রের একটা যথাযথ মডেল এই বাংলাদেশে দেখতে চেয়েছিলাম, যেটা বিগত সময়ের চেয়ে একদমই আলাদা হবে। মোদ্দাকথা, আওয়ামী আমলে যে মডেল দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের ভোট-গণতন্ত্রের সেটার পুনরাবৃত্তি আমরা চাইনি। সেটার একটা আদর্শ মঞ্চ হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জায়গা থেকেই এই ভোট-গণতন্ত্র শুরু হয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই নির্বাচনগুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আশা জাগানিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ, দীর্ঘকাল এগুলো বন্ধ ছিল সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে এবং নির্বাচন দিলে ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়বে’ অজুহাতে। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালেও ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। ৩৩ বছর পর জাকসুও নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হলো। কোনো নির্বাচনেই তথাকথিত ‘লাশ পড়ার’ জুজু সত্য হয়নি। কিন্তু, নির্বাচনি...