প্রায় একই স্কেলে নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশে দুঃশাসকের পতনসহ রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। ঘটনাপ্রবাহ কাছাকাছি।কিন্তু শাসনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নেপাল-লঙ্কার সঙ্গে ব্যাপক তফাত বাংলাদেশের। দেশ দুটিতে বাংলাদেশের মতো সংস্কার, ঐকমত্য, মব-গুজব, আন্দোলনকারী ফ্রন্টফিগারদের নানা ক্রিয়াকর্মের ক্যারিকেচার পর্ব নেই। আগে সংস্কার না নির্বাচন বিতর্ক বাধেনি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় বা ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বাহাসও জমেনি। সংস্কারের নামে প্রশাসনে রদবদলের হিড়িক, মিল-কলকারখানায় হামলে পড়ার সিরিজও দেখতে হয়নি। লাইফ সাপোর্টে চলে যায়নি তাদের অর্থনীতি। শঙ্কিত হতে হয়নি তাদের ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীদের।শুক্রবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা। একই ফরমানে আগামী বছরের ৫ মার্চ নির্বাচনের তারিখ জারিও করেন সুশীলা কার্কি। এর আগে দুর্নীতিবিরোধী সহিংস আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর সব পক্ষ মিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়।...