অমর্ত্য সেনের বয়স তখন এগারো ছুঁইছুঁই। কাদের মিয়ার এভাবে মৃত্যু, কোনোমতেই তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নোংরা দিক সম্পর্কে আগ থেকেই তার কিঞ্চিৎ ধারণা ছিল। কিন্তু সেই বিকেলে যখন কাদেরের রক্তাক্ত শরীর জড়িয়ে পানি পানে সাহায্য করছিলেন, যখন কাদেরের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, তখন তার চোখের সামনে হঠাৎ ভেসে উঠে পশুবৎ বিভীষিকা। পরিণতিতে পরিকল্পিত বিভাজন এবং রোপিত বিদ্বেষের ভয়াবহ পরিণাম। সেই ঘটনার নৃশংসতার দিক বাদ দিলেও, তিনি বুঝতে কিংবা তল পেতে পারছিলেন না কেন ঘাতকরা কাদেরকে হত্যা করতে চাইল, যারা তাকে চিনতই না? আসলে এই নিবেদিত খুনিদের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা হলো এই যে, কাদের মিয়া একজন মুসলমান ছিলেন। একসময় যখন বিষন্নতা আর ধাক্কা যথোচিতভাবে কাটিয়ে উঠলেন, যা ঘটে গেল তা নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় জড়িয়ে...