কিছুক্ষণ পরই লাল-সাদা জামদানি শাড়ি পরে এলেন ‘গুরু’, যার কণ্ঠে অনেকদিন ধরেই বেঁচে আছেন লালন সাইঁজি। তিনি ফরিদা পারভীন। হাঁটাচলার ধরনই বলে দেয়, শরীর এখন আর সায় দেয় না। ধীরে ধীরে এসে তিনি একটা টুল নিয়ে বসলেন শিক্ষার্থীদের মাঝ বরাবর। শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে ঘিরে ধরে গুরুকে, তিনিও ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেন শিক্ষার্থীদের। ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনের গানের যে চর্চা হয়ে এসেছে গেল পাঁচ দশক ধরে, সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে প্রায় ১৬ বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমি'। লালন ফকিরের গানকে উত্তরসূরীদের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চিন্তা থেকেই এই প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন, ভাষ্য এই শিল্পীর। চলতি বছরের শুরুতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ফরিদা পারভীন। এখন কিছুটা সুস্থ থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই থাকেন তিনি। বর্তমানে গানের ক্লাসে নিয়মিত...