নজরুল সংগীত আর আধুনিক গানে নিজেকে তৈরি করা এক তরুণী কেবল তার গুরুর অনুরোধে, অনেকটা ‘তাচ্ছিল্যের’ মনোভাব নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন লালন ফকিরের গান গাইতে। তিনি গেয়েছিলেন 'সত্য বল সুপথে চল' শিরোনামের গানটি। ওই গানেই বাঁক বদলে যায়, তরুণী অনুভব করেন এক ‘ঐশ্বরিক অনুরণন’। তার উপলব্ধি হয়, থেমে গেল চলবে না, মিশে যেতে হবে সাঁইজির গানে। সেই থেকে শুরু। সেই তরুণী এখন লালনের গানের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন। সত্তর পেরিয়ে আসা ফরিদা কেবল লালনের গানকে কণ্ঠে ধারণ করেননি, সাঁইজির গানকে উত্তরসূরীদের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ দশক ধরে। তৈরি করেছেন লালনের গানের পাঠশালা 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমি'। সংগীতের এই দীর্ঘ যাত্রায় একুশে পদক পাওয়া ফরিদা পারভীনের আক্ষেপ, নতুন প্রজন্ম ‘শুদ্ধভাবে লালন চর্চা করছে না’। লালনের গান উপস্থাপনার হালের প্রবণতাও...