লন্ডন থেকেদক্ষিণ এশিয়ার হিমালয়কন্যা নেপাল প্রবল রাজনৈতিক ঝড়ের মুখে। মাত্র কয়েক দিনের বিক্ষোভ, অস্থিরতা এবং সহিংসতার পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনার পেছনে ছিল এক অনন্য শক্তির উত্থান নেপালের তরুণ প্রজন্ম, যারা পরিচিতি দিয়েছে ‘জেন-জি আন্দোলন’ নামে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নামা এই তরুণরা দ্রুত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় অভিজাতদের বিলাসী জীবনের বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষের মুখপাত্র হয়ে ওঠে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা যে অভূতপূর্ব জনশক্তির প্রদর্শন করল তা কেবল সরকারের পতনই নয়, বরং নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকেও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন জোট সরকার ২৬টি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (টুইটার) এসব প্ল্যাটফর্ম নেপালের তরুণদের প্রতিদিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকারের দাবি ছিল, এসব...