মহানবীর সর্বোত্তম নৈতিক গুণাবলী এবং ব্যাকুল চিত্তের দোয়া আর অনবরত সহানুভূতিপূর্ণ উপদেশের ফলেই প্রত্যেক হৃদয়ে, পরিবারে আর পরিবেশে পবিত্র পরিবর্তন আসা আরম্ভ হয়ে যেত। তার সুন্দর ব্যবহার এরূপ হৃদয়কাড়া আর এমন আকর্ষণ-আবেদন ছিল আর তাতে এমন জ্যোতি ছিল যা হৃদয়কে মোহাবিষ্ট করত। মহানবী (সা.)-এর পবিত্র সাহাবারা (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি পরম সহানুভূতিশীল, কোমল প্রকৃতি এবং সহিষ্ণু স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। প্রত্যেক মুসলমানের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করতেন। তিনি (সা.) বলতেন, কোমলতা বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলে। যে বিষয় থেকে নম্রতা বা কোমলতা বের করে দেওয়া হয় তা অসুন্দর হয়ে যায়। একজন সাহাবি বর্ণনা করেন, একবার এক যুদ্ধের সময় ভিড়ের কারণে আমার পা মহানবী (সা.)-এর পায়ের ওপর পড়ে, আমার শক্ত জুতার কারণে তার প্রচণ্ড কষ্ট হয়, তখন তিনি (সা.) তার লাঠি দিয়ে এ কথা...