রাজনীতির প্রাণ হলো চিন্তা, কর্মসূচি আর জনগণের সঙ্গে অটুট সম্পর্ক। সমতা ও বহুত্বের পক্ষে যারা রাজনীতি করেছেন, তারা গত ১৫ বছরে এই মৌলিক কাজগুলো থেকে সরে গেছেন। যে মেধাবীরা জনগণের জন্য প্রতিযোগিতামূলক কৌশল দাঁড় করাতে পারতেন, তাদের পরিশ্রম ও চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়নি। কারণ অনেকেরই ধারণা ছিল, ডানপন্থী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হাসিনা চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। বিশেষত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার দায়ে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো তখন এমনটাই ভাবা হয়েছিল। যদিও ওই বিচার প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর মনে করা হলো পুরো ডানঅক্ষই হয়তো শেষ হয়ে গেছে। তাই আর কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবা হয়নি। বরং ধারণা তৈরি হয়েছিল, হাসিনা তার কর্তৃত্ববাদী পদ্ধতিতে প্রগতিশীলদের কাজটিই করে দিচ্ছে, আর বাম-প্রগতিশীলরা শুধু ওই ফল ভোগ করবে। নিজেদের কষ্ট...