অনেক হয়েছে, রাজিয়া ভাবলেন। আর তারপরই তিনি একটা লম্বা কাপড় মাথার চারপাশে শক্তভাবে বেঁধে হলঘরের সোফায় সটান শুয়ে পড়েন। তিনি হৈচৈ সহ্য করতে পারছিলেন না। টিভি চালু ছিল, তবে আওয়াজ কম ছিল। তিনি শিশুদের কঠিন গলায় সতর্ক করেছেন এবং আশা করতে শুরু করেন যে, অবশেষে পা ওপরে তুলে নির্ভার হয়ে বিশ্রাম করতে পারবেন। আর ঠিক তখনই বাচ্চাদের মধ্যে একজন কান্না শুরু করে, ‘দোডাম্মা২... দোডাম্মা, ও আমাকে চিমটি দিয়েছে!’ প্রচ- রাগে রাজিয়া এক ঝটকায় সোফা থকে নেমে দাঁড়ান, কিন্তু এক মুহূর্তে রাগ চেপে তিনি নিঃশব্দে বাচ্চাদের গালিগালাজ করেন। রাজিয়া ভাবছিলেন যে, ইতোমধ্যে বাড়িতে ছয়টা দস্যি আছে। প্রত্যেক দেবরের ছেলেমেয়ের সংখ্যা দুই-দুই... তিন-তিন... এবং সবাই ছুটির সময় এসে হাজির হয়েছে। আর আমার ছোটো বোনের দু’সন্তানও এখানে এসেছে- হে আল্লাহ, আমি কী করতে...