সেনা-নিয়ন্ত্রিত কারফিউ ঘোষণার পর বুধবার নেপালে এক ভয়াবহ নিস্তব্ধতা নেমে আসে। তার আগে দুই দিন ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহর অচল হয়ে পড়ে। মূলত তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালানো, পার্লামেন্ট, মন্ত্রণালয় ও সরকারি অফিসে ভাঙচুর এবং রাজনীতিবিদদের বাড়িতে হামলা চালান। এমনকি মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টারেরও প্রয়োজন হয়। এই সহিংসতায় অন্তত কমপক্ষে ২২ জন প্রাণ হারান এবং শত শত মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আহত হন। সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার বন্ধের চেষ্টাকে এই সহিংসতার তাৎক্ষণিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশটির প্রায় তিন কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, যা জন্ম নিয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতি ও ব্যাপক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। নেপাল সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম বন্ধ...