১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর বিএনপি কার্যত নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সী গৃহবধূ খালেদা জিয়া তখন নিছকই দলের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিএনপির চেয়ারপারসন হন এবং স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দ্রুত জাতীয় রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা পান। তার এই রাজনৈতিক অভিষেক ছিল বাংলাদেশের নারী নেতৃত্বের এক নতুন সূচনা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতার রাশ হাতে নেন বেগম খালেদা জিয়া। একজন গৃহিণী থেকে জাতীয় নেতৃত্বে উঠে আসার এই যাত্রা নিছক ব্যক্তিগত কাহিনি নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ ও রাষ্ট্রের নতুন দিকনির্দেশনার প্রতীক। এর আগে রাজনৈতিক নেতৃত্বে নারীর উপস্থিতি ছিল প্রতীকী পর্যায়ে সীমাবদ্ধ; কিন্তু...