নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলার খাল-বিল ও জলাশয়জুড়ে একসময় যেসব শামুক অবাধে বিচরণ করত, আজ তা যেন প্রায় অনুপস্থিত। বেপরোয়া শামুক আহরণ, কৃষিজমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতায় এই উপকারী জলজ প্রাণী এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।এক সময় খাল-বিল ও পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়ানো শামুক ছিল সাধারণ দৃশ্য। আজ তা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। অথচ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, ক্ষতিকর পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ এবং ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে শামুকের অবদান বিশাল। কিন্তু এসব উপকারিতা আজ চাপা পড়ে গেছে দ্রুত অর্থনৈতিক লাভের পেছনে ছুটে চলা মানুষের কাছে।জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, প্রতিদিন খাল-বিল থেকে নির্বিচারে শামুক সংগ্রহ করে তা মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে শামুকের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই...