১৭ আগস্ট ২০০৫। বুদাপেস্টের ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হাঙ্গেরি আর আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ২–১ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দুই মিনিট পরই কোচ হোসে পেকারম্যান নামালেন এক তরুণ প্রতিভাকে। মাঠে নামার পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষ ফুলব্যাককে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড! জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার নামতেই ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা। চোখ ভিজে যাচ্ছিল অঝোর কান্নায়। কে ভেবেছিল, সেই কিশোরই একদিন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলবেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১৯৪), করবেন সবচেয়ে বেশি গোল (১১৪), হবেন শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞাপন। শুধু তাই নয়—তিন যুগের অপেক্ষা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপও এনে দেবেন। কার কথা বলা হচ্ছে, নিশ্চয়ই বুঝেছেন—লিওনেল মেসি। অভিষেক হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো, শেষটায় তিনি আর্জেন্টিনার সব স্বপ্ন পূরণের রূপকার। কিন্তু ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসে চোট যেন মেসির স্থায়ী সঙ্গী। সর্বশেষ হ্যামস্ট্রিং চোটের পর কোচ লিওনেল স্কালোনি...