সাবওয়ের অন্ধকার টানেলের ভেতর দিয়ে গর্জন তুলতে তুলতে ট্রেন ছুটে চলেছে লেক্সিংটন অ্যাভিনিয়ের দিকে। বাশার বসে আছে অপারেটরের আসনে। টানেলের ভেতরে আলো-আঁধারির খেলাটা প্রতিদিনই খেয়াল করে ও। একটা স্টেশন পেরোতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে চারপাশ। আবার একটু পরে গিলে ফেলে অন্ধকার। নিউ ইয়র্কের জীবন যেন এমনই আলোর পাশে অন্ধকার, ভিড়ের মধ্যে থেকেও সবাই যেন নিঃসঙ্গ। বাংলাদেশ থেকে বাশার নিউ ইয়র্কে এসেছিল পনেরো বছর আগে। তারপর আর যাওয়া হয়নি। ভিন দেশের কঠিন জীবন, চাকরির অনিশ্চয়তা, বৈধতার কাগজপত্র সবকিছুর ঘূর্ণিতে আটকে গিয়েছে। বাবা যখন মারা গেলেন, তখন ও নিউ ইয়র্কে। ফোনে খবর পেয়েছিল অপর প্রান্ত থেকে মা হাউমাউ করে বিলাপ করছিলেন। বাশার মাকে কথা দিয়েছিল শিগগিরই দেশে ফিরে যাবে ও। বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু সেই যাওয়া আর হয়নি। প্রতিদিন ট্রেন...