প্রায় ১ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটারের এক প্রাকৃতিক উঁচু ভূমিতে গড়ে উঠেছিল এই নগর। ভৌগোলিক অবস্থান, নদীপথের সংযোগ এবং কৌশলগত বিন্যাসের কারণে এটি হয়ে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র। ইতিহাসের পাতায় যা ‘পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তি’ নামে পরিচিত, তা পাল রাজাদের হাতে রূপ পেয়েছিল এক সুবিন্যস্ত ও সংগঠিত নগররূপে। পালযুগ—বাংলার ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায়। এই সময়েই পুণ্ড্রনগর এক স্থাপত্যবিস্ময়ে পরিণত হয়। নগরের কেন্দ্রে ছিল প্রশাসনিক কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, কর সংগ্রহ কেন্দ্র ও ধর্মীয় মঠ। এটি কেবল রাজধানী নয়, ছিল সাংস্কৃতিক ভাবনার এক প্রতিফলন। রাজ্য শাসনের পরিকল্পনায় নগরকেন্দ্র যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তার নিদর্শন মেলে নগর গঠনের বৈজ্ঞানিক বিন্যাসে। পুণ্ড্রনগরের আরেকটি মুখ্য বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মীয় ভাবধারা। পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাই নগর–পরিকল্পনায় মঠ, বিহার, স্তূপ ও প্রার্থনাস্থলের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখা...