দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে একের পর এক অভ্যুত্থানের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট থেকে পাকিস্তানে ইমরান খানের পতন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর এবার আন্দোলনের আগুনে জ্বলে উঠেছে নেপাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারির পর শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। শুরুতে কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলেও অল্প সময়েই সেটি রূপ নেয় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে। ক্রমেই তা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল পদত্যাগে বাধ্য হন। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, ওলি ইতিমধ্যে দুবাইয়ে পালানোর পরিকল্পনা করছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলে—‘কেপি চোর, দেশ ছাড়’। এর মধ্যেই ওলি, রাষ্ট্রপতি পাওডেল ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের ব্যক্তিগত বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার মালিকানাধীন কাঠমান্ডুর...