চিন্ময় গুহর গদ্য সর্বদাই কাব্যবিধৌত এক পলি দিয়ে গড়া যার শব্দপুঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসে সবুজ রক্তের ক্লোরোফিল। এই গদ্য সুগন্ধী, শ্যামলিম, ইন্দ্রিয়জ। এই গদ্য ব্যাকরণের নির্ধারিত সংজ্ঞাকে লঙ্ঘন করে নিজের মুক্তিকে এমনভাবে নিশ্চিত করতে চায় যেখানে কবিতার সঙ্গে বিভেদরেখা বিলুপ্তপ্রায়। অর্থাৎ তাঁর গদ্য চিরকালই ছিল কাব্য-অভিসারী। এই কারণে তাঁর গদ্যে আমরা শুনতে পাই কবিতার সঙ্গে অবিরাম বিশ্রম্ভালাপ। এই প্রণয়মাধুর্য তাঁর গদ্যের এক লক্ষণতিলক। চিন্ময় গুহ এবার, বলা যায়, গদ্যের পরিযায়ী প্রদক্ষিণের এক অবকাশে, প্রবেশ করেছেন কবিতার নির্জন কুটিরে। এখানে আর গদ্যের আড়াল নেই; এখানে তার নিজের সঙ্গে নিজেরই এক নগ্ন সাক্ষাত। এই সাক্ষাতেরই স্বগত রূপপাথরের ফণা ও ঈশ্বর। এবারেই তাঁর কবি রূপে সরাসরি আত্মউন্মোচন, কিন্তু এরও আছে পূর্ব ইতিহাস যা কবির নিজের কন্ঠে ধ্বনিত হলো এই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের সূত্রে: “কোনও...